

রবিবার ● ২৯ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » মহাজাগতিক পথচলা » ২০১৮ সাল
২০১৮ সাল
গণিতের তিনটি শাখা বীজগণিত, সংখ্যাতত্ত্ব ও বিশ্লেষণ-কে ল্যাংল্যান্ডস এক সূত্রে বাঁধার একটি অভিনব তত্ত্ব প্রনয়ণের জন্য ২০১৮ সালে ‘অ্যাবেল পুরস্কার’ পেয়েছেন গণিতশাস্ত্রবিদ রবার্ট পি ল্যাংল্যান্ডস। তার তত্ত্বটির নাম - ‘গ্র্যান্ড ইউনিফিকেশন থিয়োরি’ বা ‘জিইউটি’। ল্যাংল্যান্ডস নিউ জার্সির প্রিন্সটনে ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডি’র স্কুল অফ ম্যাথমেটিকসের এমেরিটাস অধ্যাপক।
১৯৬৭ সালে অধ্যাপক ল্যাংল্যান্ডস প্রথমবার তার বন্ধু গণিতশাস্ত্রবিদ আঁদ্রে ভেইল-কে লেখা ১৭ পাতার একটি চিঠিতেই প্রথমবার এই প্রোগ্রাম’ টির কথা প্রকাশ করেন। কোনও গবেষণাপত্র বা থিসিস পেপারে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়নি। সে সময় আঁদ্রে ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডি’র স্কুল অফ ম্যাথমেটিকসের অধ্যাপক ছিলেন। চিঠিতে ল্যাংল্যান্ডস লিখেছিলেন, ‘‘গণিতের তিনটি শাখার মধ্যে মেলবন্ধন ঘটানো খুবই জরুরি। কারণ আমি দেখেছি, কোনও একটি শাখা দিয়ে যে জটিল ধাঁধার জট খোলা সম্ভব হচ্ছে না, অন্য আরেকটি শাখায় তার সমাধান খুবই সহজে করা সম্ভব হচ্ছে। ওই তিনটি শাখা হল নাম্বার থিয়োরি বা সংখ্যাতত্ত্ব, অ্যালজেব্রিক জিওমেট্রি বা বীজগাণিতিক জ্যামিতি এবং অটোমরফিক ফর্মসের তত্ত্ব।”
চিঠিটি ছিল হাতে লেখা। পুরো চিঠিটি পড়ে আঁদ্রে ল্যাংল্যান্ডসকে চিঠিটা টাইপ করার পরামর্শ দেন এবং এটিকে বিশ্বের অন্যান্য গণিতশাস্ত্রবিদদের পাঠিয়ে দিতে অনুরোধ করেন। কারণ, টাইপ করা লেখা পড়তে যেমন সুবিধা, তেমনি বানান ভুলের সম্ভাবনাও কম থাকবে। বন্ধুর পরামর্শেই ল্যাংল্যান্ডস সত্তরের দশকে তার প্রোগ্রামটি বিশ্বের বিভিন্ন গণিতশাস্ত্রবিদদের পাঠিয়েছিলেন। এরপর থেকেই প্রায় চার দশক ধরে নানা তর্কবিতর্ক চলেছে।
অ্যাবেল পুরস্কার কমিটির ভাষ্যমতে, রবার্ট ল্যাংল্যান্ডস গণিতকে পুনরায় আবিস্কার করেছেন। গণিতে তিনি নিজের তত্ত্ব দিয়ে বিপ্লব ঘটিয়েছেন। তার এই উদ্ভাবন গণিতশাস্ত্র ও তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যা (থিয়োরেটিকাল ফিজিক্স)-কে এক সূত্রে গাঁথতেও সাহায্য করবে।